গত ১৭ জুন, ২০০৯ দৈনিক যুগান্তরের শেষ পাতায় প্রথম কলামে সরোয়ার আলম কতৃক “কারাগারে বসে নতুন দল গঠনের চেষ্টা করছে মুফতি হান্নান ও আব্দুস সালাম ৬৪ জেলার আহবায়ক কমিটি গঠন ” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যে প্রতিবেদনের অধিকাংশ তথ্যই প্রকৃত ঘটনার সঙ্গে সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যশীল ও বিভ্রান্তিকর। আইডিপি উক্ত সংবাদের বিভ্রান্তিকর অংশসমূহ ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরছে:
প্রকাশিত সংবাদের বিভ্রান্তিকর অংশ সমূহ
১) “আব্দুস সালাম কারাগারে থেকে দল সংগঠিত করছেন। এ ২ নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর হুজির বিকল্প দল ইসলামি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির(আইডিপি) ও নাম পরিবর্তন করে অন্য নামে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।”
২) “হুজি ও আইডিপির অন্য নেতারা মুফতি হান্নান ও সালামের সঙ্গে কারাগারে দেখা করে তাদের দিক নির্দেশনা নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। ”
৩) “এর আগে আব্দুস সালাম মুফতি হান্নানের গ্রুপে ছিলেন। আধিপত্য নিয়ে বিরোধে তিনি মুফতি হান্নানকে ছেড়ে নতুন এ দল গঠন করেন।”
৪) “সূত্রমতে কারাগারে বসে মুফতি হান্নান ও আব্দুস সালাম দলকে ঐক্যবদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সব ভেদাভেদ ভূলে একত্রে কাজ করার অনুরোধ জানানো হয় নেতাকর্মীদের।”
৫) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেহেতু আইডিপিসহ ৩টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে, তাই নতুন করে একটি দল করার চেষ্টা চলছে। তবে নতুন দলের নাম এখনও ঠিক হয়নি।
৬) যারা নতুন দল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে তারা হলেন কারী হোসাইন আহমেদ, মুফতি কামাল উদ্দিন, মাওলানা রুহুল আমিন, মাহবুবুর রহমান, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মুফতি সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা ফজলে এলাহী ও মুফতি নাজিমুদ্দিন, মাওলানা আবু বক্কর, মাওলানা শেখ ফরিদ, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা রহমত উল্লাহ, মাওলানা সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।
৭) সূত্র আরও জানায়, ১৯৯৮ সালে মুফতি হান্নানের নেতৃত্বাধীন হরকাতুল জিহাদের অন্যতম নেতা আবদুস সালাম ও আবদুর রউফকে দল থেকে বহিষ্কারের পর অভ্যন্তরীণ কোন্দল দেখা দেয়।
উক্ত উদ্বৃতি গুলোর সাথে সংশ্লিষ্ঠ প্রকৃত ঘটনা হলো এইঃ
১) হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী ও আই ডিপি সম্পূর্ন ভিন্ন চিন্তা ধারার ওভিন্ন কর্মপন্থা বিশ্ষ্টি দুটি সংগঠন । ইতিপূর্বে বিভিন্ন বক্তব্য ,সাক্ষাৎকার এবং গত ১৮ জুলাই ২০০৮ইং তারিখে প্রদত্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আই ডি পির আহবায়ক মাওলানা শেখ আবদুস সালাম সাহেব বলেছেন যে “ ১৯৯৮ সালে আমরা হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ কে বিলুপ্ত ঘোষনা করি । বিলুপ্ত করার পর মাওলানা আবু জাফর -মুফতি হান্নান গং উক্ত নাম ব্যবহার করে যে সমস্ত বেআইনি আপরাধ মুলক কার্যকলাপ সংগঠিত করেছে ঐসব অপরাধ মুলক কার্যকলাপের দ্বায় দ্বায়িত্ব তাদের ।”
অত এব আই ডি পি কখনোই হুজির বিকল্প দল নয় ।
গত ১৮মে ২০০৮ইং তারিখে আই ডি পি গঠিত হওয়ার পর যথা নিয়মে এর কার্যক্রম চলছে ।যেহেতু এটি বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনের আওতায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত একটি রাজনৈতিক সংগঠন তাই এর নাম পরিবর্তন করার বা অন্য নামে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার কোন কারন নেই।
২)আই ডি পির নেতৃবৃন্দ দলের আহবায়ক হিসেবে মাওলানা আবদুস সালাম সাহেবের সাথে দেখা করতে যাবেন এটাই স্বাভাবিক ।কিন্তু আই ডি পির নেতৃবৃন্দের মুফতি হান্নানের সাথে দেখা করা ও তার থেকে দিক নির্দেশনা নেয়ার ঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যা ,ভিত্তিহীন ও একটি হাস্য কর প্রোপাগান্ডা।
৩)মাওলানা শেখ আবদুস সালাম সাহেব কখনোই মুফতি হান্নানের গ্রুপে ছিলেন না ।অতএব আধিপত্য নিয়ে বিরোধ ও এ নিয়ে মুফতি হান্নান কে ছেড়ে নতুন দল গঠন করার ব্যাপারটিও একটি হাস্যকর দাবী । বরং প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে মুফতি হান্নান ১৯৯৮পর্যন্ত তৎকালীন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী এর প্রচার স¤পাদকের দায়িত্বে ছিলেন ।ঐ সময় মুফতি হান্নান হুজি নেতৃবৃন্দের অজ্ঞাতসারে হরকাতুল মুজাহিদীন এর মাওলানা আবু জাফর এর সাথে গোপন সম্পর্ক বজায় রাখে এবং ‘হরকাতুল জিহাদিল ইসলামী ’র দায়িত্ব পালনে অবহেলা, সংগঠনের প্রতি অনীহা, অভদ্রতা ও স্বেচ্ছাচারিতা এবং আমীরের আনুগত্যের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রকাশ করতে থাকে। এসব কারনে ১৯৯৮ সালে মুফতি আব্দুল হান্নানকে হুজিবী থেকে বহিস্কার করা হয় এবং সংগঠনের শুরায় সর্বসম্মতিক্রমে ‘হরকাতুল জিহাদিল ইসলামী বাংলাদেশ' বা হুজিবীকে বিলুপ্ত করা হয়।
৪) মুফতি হান্নান ও মাওলানা আব্দুল সালাম সম্পুর্ন ভিন্ন মতাদর্শের দুইজন ব্যক্তি। আব্দুল সালাম সাহেবের নেতৃত্বে গঠিত আইডিপি এবং মুফতি হান্নানের নেতৃত্বাধীন গ্র“পের চিন্তাধারা ও কর্মপদ্ধতিও ভিন্ন। অতএব মুফতি হান্নান ও মাওলানা আব্দুস সালাম দলকে ঐক্যবদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া ব্যাপারটি অবাস্তব। সব ভেদাভেদ ভূলে একত্রে কাজ করার কোন অনুরোধ আইডিপির নেতৃবৃন্ধ মাওলানা আব্দুস সালাম সাহেবের কাছ থেকে কখনোই পাননি এবং মাওলানা আব্দুস সালাম সাহেবের পক্ষে এধরনের অনুরোধ বা নির্দেশ প্রচারের যৌক্তিক কোন কারনও নেই।
৫) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় কর্তৃক আইডিপি নিষিদ্ধ হয়নি এবং এর নিষিদ্ধ হওয়ার যৌক্তিক ও আইনগত কোন কারনও নেই। আগেই বলা হয়েছে আইডিপি বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনের আওতায় একটি নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। কিন্তু এটা খুবই দঃখজনক যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় এটিকে কালো তালিকাভূক্ত করেছে। আমরা আশা করি যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে সরকার আইডিপির অবস্থানের ব্যাপারে সুস্পষ্ট হবে এবং কালো তালিকা থেকে আইডিপির নাম প্রত্যাহার করবে।
৬) আইডিপিকে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি নিয়ন্ত্রন করছে। মাওলানা আব্দুস সালাম সাহেব গ্রেফতার হওয়ার পর প্রবীন বয়োজৈষ্ঠ্য নেতা ক্বারী হোসাইন আহমদ সাহেবকে ভারপ্রাপ্ত আহবায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উক্ত ১৫ সদস্যের বাইরে আইডিপির নিয়ন্ত্রনকারী হিসাবে আর কারো কোন ভূমিকা নেই। এখানে নতুন দল সৃষ্ঠি হওয়ার ব্যাপারটিও অবান্তর। অধিকন্তু উদ্বৃতি-৬ এ উল্লেখিত মাওলানা আবু তাহের ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন। তার পক্ষে নতুন দল গঠনে অংশগ্রহন এবং নিয়ন্ত্রন করা কীভাবে সম্ভব তা বোধগম্য নয়।
৭) মুফতী হান্নান ১৯৯৮ সাল হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বিলুপ্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কখনোই এর নেতৃত্বে ছিলেন না এবং তিনি তৎকালীন হুজির প্রচার সম্পাদক ছিলেন যা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব মাওলানা আব্দুস সালাম ও আব্দুর রউফকে মুফতী হান্নানের নেতৃত্বাধীন হরকাতুল জিহাদের অন্যতম নেতা দাবী করা এবং এ দুজনকে বহিস্কারের ব্যাপারটি পুরোটাই আগাগোড়া মিথ্যা বরং প্রকৃত ঘটনা তার সম্পূর্ন বিপরীত।
প্রকাশিত সংবাদের বিভ্রান্তিকর অংশ সমূহ
১) “আব্দুস সালাম কারাগারে থেকে দল সংগঠিত করছেন। এ ২ নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর হুজির বিকল্প দল ইসলামি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির(আইডিপি) ও নাম পরিবর্তন করে অন্য নামে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।”
২) “হুজি ও আইডিপির অন্য নেতারা মুফতি হান্নান ও সালামের সঙ্গে কারাগারে দেখা করে তাদের দিক নির্দেশনা নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। ”
৩) “এর আগে আব্দুস সালাম মুফতি হান্নানের গ্রুপে ছিলেন। আধিপত্য নিয়ে বিরোধে তিনি মুফতি হান্নানকে ছেড়ে নতুন এ দল গঠন করেন।”
৪) “সূত্রমতে কারাগারে বসে মুফতি হান্নান ও আব্দুস সালাম দলকে ঐক্যবদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সব ভেদাভেদ ভূলে একত্রে কাজ করার অনুরোধ জানানো হয় নেতাকর্মীদের।”
৫) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেহেতু আইডিপিসহ ৩টি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে, তাই নতুন করে একটি দল করার চেষ্টা চলছে। তবে নতুন দলের নাম এখনও ঠিক হয়নি।
৬) যারা নতুন দল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে তারা হলেন কারী হোসাইন আহমেদ, মুফতি কামাল উদ্দিন, মাওলানা রুহুল আমিন, মাহবুবুর রহমান, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মুফতি সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা ফজলে এলাহী ও মুফতি নাজিমুদ্দিন, মাওলানা আবু বক্কর, মাওলানা শেখ ফরিদ, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা রহমত উল্লাহ, মাওলানা সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।
৭) সূত্র আরও জানায়, ১৯৯৮ সালে মুফতি হান্নানের নেতৃত্বাধীন হরকাতুল জিহাদের অন্যতম নেতা আবদুস সালাম ও আবদুর রউফকে দল থেকে বহিষ্কারের পর অভ্যন্তরীণ কোন্দল দেখা দেয়।
উক্ত উদ্বৃতি গুলোর সাথে সংশ্লিষ্ঠ প্রকৃত ঘটনা হলো এইঃ
১) হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী ও আই ডিপি সম্পূর্ন ভিন্ন চিন্তা ধারার ওভিন্ন কর্মপন্থা বিশ্ষ্টি দুটি সংগঠন । ইতিপূর্বে বিভিন্ন বক্তব্য ,সাক্ষাৎকার এবং গত ১৮ জুলাই ২০০৮ইং তারিখে প্রদত্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আই ডি পির আহবায়ক মাওলানা শেখ আবদুস সালাম সাহেব বলেছেন যে “ ১৯৯৮ সালে আমরা হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ কে বিলুপ্ত ঘোষনা করি । বিলুপ্ত করার পর মাওলানা আবু জাফর -মুফতি হান্নান গং উক্ত নাম ব্যবহার করে যে সমস্ত বেআইনি আপরাধ মুলক কার্যকলাপ সংগঠিত করেছে ঐসব অপরাধ মুলক কার্যকলাপের দ্বায় দ্বায়িত্ব তাদের ।”
অত এব আই ডি পি কখনোই হুজির বিকল্প দল নয় ।
গত ১৮মে ২০০৮ইং তারিখে আই ডি পি গঠিত হওয়ার পর যথা নিয়মে এর কার্যক্রম চলছে ।যেহেতু এটি বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনের আওতায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত একটি রাজনৈতিক সংগঠন তাই এর নাম পরিবর্তন করার বা অন্য নামে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার কোন কারন নেই।
২)আই ডি পির নেতৃবৃন্দ দলের আহবায়ক হিসেবে মাওলানা আবদুস সালাম সাহেবের সাথে দেখা করতে যাবেন এটাই স্বাভাবিক ।কিন্তু আই ডি পির নেতৃবৃন্দের মুফতি হান্নানের সাথে দেখা করা ও তার থেকে দিক নির্দেশনা নেয়ার ঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যা ,ভিত্তিহীন ও একটি হাস্য কর প্রোপাগান্ডা।
৩)মাওলানা শেখ আবদুস সালাম সাহেব কখনোই মুফতি হান্নানের গ্রুপে ছিলেন না ।অতএব আধিপত্য নিয়ে বিরোধ ও এ নিয়ে মুফতি হান্নান কে ছেড়ে নতুন দল গঠন করার ব্যাপারটিও একটি হাস্যকর দাবী । বরং প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে মুফতি হান্নান ১৯৯৮পর্যন্ত তৎকালীন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী এর প্রচার স¤পাদকের দায়িত্বে ছিলেন ।ঐ সময় মুফতি হান্নান হুজি নেতৃবৃন্দের অজ্ঞাতসারে হরকাতুল মুজাহিদীন এর মাওলানা আবু জাফর এর সাথে গোপন সম্পর্ক বজায় রাখে এবং ‘হরকাতুল জিহাদিল ইসলামী ’র দায়িত্ব পালনে অবহেলা, সংগঠনের প্রতি অনীহা, অভদ্রতা ও স্বেচ্ছাচারিতা এবং আমীরের আনুগত্যের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রকাশ করতে থাকে। এসব কারনে ১৯৯৮ সালে মুফতি আব্দুল হান্নানকে হুজিবী থেকে বহিস্কার করা হয় এবং সংগঠনের শুরায় সর্বসম্মতিক্রমে ‘হরকাতুল জিহাদিল ইসলামী বাংলাদেশ' বা হুজিবীকে বিলুপ্ত করা হয়।
৪) মুফতি হান্নান ও মাওলানা আব্দুল সালাম সম্পুর্ন ভিন্ন মতাদর্শের দুইজন ব্যক্তি। আব্দুল সালাম সাহেবের নেতৃত্বে গঠিত আইডিপি এবং মুফতি হান্নানের নেতৃত্বাধীন গ্র“পের চিন্তাধারা ও কর্মপদ্ধতিও ভিন্ন। অতএব মুফতি হান্নান ও মাওলানা আব্দুস সালাম দলকে ঐক্যবদ্ধ করার নির্দেশ দেয়া ব্যাপারটি অবাস্তব। সব ভেদাভেদ ভূলে একত্রে কাজ করার কোন অনুরোধ আইডিপির নেতৃবৃন্ধ মাওলানা আব্দুস সালাম সাহেবের কাছ থেকে কখনোই পাননি এবং মাওলানা আব্দুস সালাম সাহেবের পক্ষে এধরনের অনুরোধ বা নির্দেশ প্রচারের যৌক্তিক কোন কারনও নেই।
৫) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় কর্তৃক আইডিপি নিষিদ্ধ হয়নি এবং এর নিষিদ্ধ হওয়ার যৌক্তিক ও আইনগত কোন কারনও নেই। আগেই বলা হয়েছে আইডিপি বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনের আওতায় একটি নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। কিন্তু এটা খুবই দঃখজনক যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় এটিকে কালো তালিকাভূক্ত করেছে। আমরা আশা করি যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে সরকার আইডিপির অবস্থানের ব্যাপারে সুস্পষ্ট হবে এবং কালো তালিকা থেকে আইডিপির নাম প্রত্যাহার করবে।
৬) আইডিপিকে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি নিয়ন্ত্রন করছে। মাওলানা আব্দুস সালাম সাহেব গ্রেফতার হওয়ার পর প্রবীন বয়োজৈষ্ঠ্য নেতা ক্বারী হোসাইন আহমদ সাহেবকে ভারপ্রাপ্ত আহবায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উক্ত ১৫ সদস্যের বাইরে আইডিপির নিয়ন্ত্রনকারী হিসাবে আর কারো কোন ভূমিকা নেই। এখানে নতুন দল সৃষ্ঠি হওয়ার ব্যাপারটিও অবান্তর। অধিকন্তু উদ্বৃতি-৬ এ উল্লেখিত মাওলানা আবু তাহের ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন। তার পক্ষে নতুন দল গঠনে অংশগ্রহন এবং নিয়ন্ত্রন করা কীভাবে সম্ভব তা বোধগম্য নয়।
৭) মুফতী হান্নান ১৯৯৮ সাল হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বিলুপ্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কখনোই এর নেতৃত্বে ছিলেন না এবং তিনি তৎকালীন হুজির প্রচার সম্পাদক ছিলেন যা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব মাওলানা আব্দুস সালাম ও আব্দুর রউফকে মুফতী হান্নানের নেতৃত্বাধীন হরকাতুল জিহাদের অন্যতম নেতা দাবী করা এবং এ দুজনকে বহিস্কারের ব্যাপারটি পুরোটাই আগাগোড়া মিথ্যা বরং প্রকৃত ঘটনা তার সম্পূর্ন বিপরীত।